ঘুস নেওয়ার সময় গ্রেফতার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালকের (মানিলন্ডারিং) পিএ গৌতম ভট্টচার্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন’ (র্যাক)-এর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এ তথ্য জানান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের মধ্যে যদি দুর্নীতিবাজ থেকে থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার সেই কর্মচারীকে (গৌতম) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর পুলিশ তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এর সঙ্গে আরও কেউ যদি জড়িত থাকে, তাদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গৌতম ভট্টাচার্য ২০১৩ সালে সাঁটলিপিকার-কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে দুদকে যোগ দেন। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার।
গত শুক্রবার (২৩ জুন) দেড় কোটি টাকা ঘুস নেওয়ার সময় হাতেনাতে গৌতমসহ চারজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা। গ্রেফতার অন্যরা হলেন- হাবিবুর রহমান (৪২), পরিতোষ মন্ডল (৬৩) ও মো. এসকেন আলী খান (৫৭)।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রাকিবের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি জানায়, গ্রেফতাদের মধ্যে গৌতম ভট্টাচার্য যেহেতু দুদকে কর্মরত ছিলেন, সে কারণে প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন সম্পর্কে ভালোভাবেই জানতেন। তাই খুব নিখুঁতভাবে টার্গেটকে বিশ্বাস করাতে পারতেন যে তিনি দুদকের জালে ফেঁসে যাচ্ছেন। অনেকে দোষী জেনে তাদের কথা সহজে মেনেও নিতেন। তবে এবার এক টার্গেট ব্যবসায়ীকে নোটিশ পাঠিয়ে যোগাযোগ করে দুই কোটি টাকা দাবি করলে তিনি ডিবি পুলিশের শরণাপন্ন হন। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।