দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে টাকার বিনিময়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ম্যানেজ করে সভাপতিকে ছাড়াই প্রধান শিক্ষক নিজের প্রতিবন্ধী ছেলেসহ তিনটি নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লোকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার লোকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের তার শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেবার জন্য চাপ দিতে থাকেন। শরিফুল ইসলাম রাজী না হলে মোটা অংকের টাকার অফার দেন প্রধান শিক্ষক আবু তাহের। এতে রাজী না হলে শরিফুল ইসলামকে কৌশলে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন প্রধান শিক্ষক আবু তাহের। সভাপতি করেন পুটিমারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামকে।
কমিটি গঠন নিয়ে দিনাজপুর আদালতে মামলা করেন ওই স্কুল কমিটির অভিভাবক সদস্য আবু নাছের। আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে অফিস সহায়ক সহ নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী এই তিনটি পদে নিয়োগ হওয়ার কথা জানান।
শরিফুল ইসলাম আরও অভিযোগ করে বলেন, অফিস সহায়ক পদের ন্যূনতম যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পাস। প্রধান শিক্ষক আবু তাহেরের ছেলে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে নিজের নামটাই লেখতে পারবে না। সে কখন কিভাবে ৮ম শ্রেণি পাস করলো? নিয়োগ পরীক্ষায় বা কিভাবে পাস করলো? প্রধান শিক্ষকের ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং নিয়োগ পরীক্ষার খাতা যাচাই বাছাই করলে এই দুর্নীতির সকল তথ্য উন্মোচিত হবে।
এ বিষয়ে লোকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নতুন সভাপতি আশরাফুল ইসলাম জানান, লোকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কোন নিয়োগ হয়নি। আমি কোন নিয়োগ দেয়নি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান যে, তিনি নবাবগঞ্জের এক আ. লীগ নেতাকে জুনের ৭ তারিখে নবাবগঞ্জ কৃষি ব্যাংক শাখার মাধ্যমে চার লাখ টাকা এবং নগদে ৯ লাখ টাকা এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলামকে নগদ আট লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগ বোর্ড করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যদি বলেন নিয়োগ হয়নি, তিনি নিয়োগ সম্পর্কে কিছু জানেন না, তার মানে তিনি নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন না। তাই সে নিয়োগ বৈধ হওয়ার কোন সুযোগ নেই।