চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে ১৯ টি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে এখনো দেড় হাজারের বেশি আসন খালি আছে। ১ হাজার ৬৫৫টি শূন্য আসন রেখেই আজ রোববার থেকে এ কলেজগুলোতে একাদশের ক্লাস শুরু হয়েছে। এদিকে তিনধাপে আবেদন করেও প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি।
এদিকে যেসব কলেজ শিক্ষার্থী পায়নি ও যেসব শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে পারেননি তাদের জন্য শুরু হয়েছে চতুর্থ ধাপের আবেদন গ্রহণ। রোববার থেকে শুরু হওয়া চতুর্থ ধাপের আবেদন চলবে আগামীকাল সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ১৯ টি সরকারি কলেজে এখনো ১ হাজার ৬৫৫ টি আসন খালি রয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩৯৯টি, ব্যবসা শিক্ষায় ৮২৫টি ও মানবিকে ৪৩১টি আসন খালি আছে। আর সবচেয়ে বেশি ৪৪৮টি আসন খালি আছে রাংগুনিয়া সরকারি কলেজে। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বিখ্যাত চট্টগ্রাম কলেজেও ২০টি আসন খালি আছে।
বোর্ডের কলেজ শাখার তথ্য মতে, চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে এবার ২৮২টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন রয়েছে। অনুমোদিত এসব কলেজে সবমিলিয়ে আসন সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৯টি। বিপরীতে বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এবার আবেদন করেছে ১ লাখ ২৩ হাজার ১৫১ জন। সে হিসেবে একাদশে ভর্তিতে আসন সংকট থাকছে না। বরং আরো ৫১ হাজার ৯৮৮টি আসন শূন্য থাকবে। কিন্তু তিন ধাপে কলেজ নিশ্চায়নের সুযোগের পরও দেখা যাচ্ছে এখনো আবেদনকারী অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি এবং এইচএসসি কৃতকার্য অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির অবেদনই করেনি। এ পরিস্থিতিতে চতুর্থ ধাপে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. জাহেদুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকারি-বেসরকারি কলেজে পর্যাপ্ত আসন খালি আছে। শেষ ধাপে মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তি না হওয়ারা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কলেজ পছন্দ করতে মেধা ও আসন সংখ্যা বিবেচনা করার পরামর্শ দেন তিনি।
কলেজ পরিদর্শক জানান, হালিশহর সেন্ট্রাল কলেজ, বৌদ্ধঘর কলেজসহ কয়েকটি কলেজে এখনো কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। হালিশহর সেন্ট্রাল কলেজকে শিক্ষার্থীহীনতা ও অন্যান্য কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় আরো কয়েকটি কলেজ পড়তে পারে।