টানা আন্দোলনের পরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, জিরো পয়েন্ট ও ২ নম্বর গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষকদের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে যোগ দেননি। আবাসিক হলগুলোও আসন বরাদ্দ না থাকায় ফাঁকা। এক প্রকারে অচল হয়ে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম হলো প্রধান দুটি স্তম্ভ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রযেছে। অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমের কোনো মূল্য নেই। কিন্তু আমরা দেখেছি উপাচার্য না থাকলেও বিনা বাধায় বিভিন্ন আর্থিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন কমকর্তা ও কর্মচারীদের বদলিও এই বন্ধ ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর গুঞ্জন ওঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। শিক্ষা উপদেষ্টা মুঠোফোনে তাকে এ কথা জানিয়েছেন বলে অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া নিশ্চিত করেন। কিন্তু এর মধ্যে কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছে।