চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নয়নাভিরাম দেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। এখানকার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন বিশ্ববিদ্যালয়টির ঐতিহ্যের শাটল ট্রেন। প্রায় ১০-১৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত যাতায়াত করেন শাটলে।
বর্তমানে দুটি ট্রেন মোট ১৪ বার শহর-ক্যাম্পাস-শহর আসা যাওয়া করে। তবে তীব্র গরমে ট্রেনে ভোগান্তির শেষ থাকে না শিক্ষার্থীদের। এবার শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে একটি শাটলে যুক্ত করা হয়েছে ‘পাওয়ার কার’। গত সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাটল ট্রেনে এই ‘পাওয়ার কার’ যুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, গত ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাটলে পাওয়ার কার লাগানো হয়েছে। কিছু সমস্যার কারণে পরীক্ষামূলক চালু করা হয়েছে। তবে এটা নিয়মিত করা হবে। আমাদের কাজ শিক্ষার্থীদের দুঃখকষ্ট বোঝা এবং সেগুলো লাঘবের চেষ্টা করা। আমরা ইতিমধ্যে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রীর নিকট জমা দিয়েছি। আমরা তার নিকট নতুন ট্রেনের জন্য আবেদন করেছি।
তিনি বলেন, ট্রেনে পাওয়ার কার লাগানোর কারণে হয়ত আমাদেরকে কিছু চার্জ দিতে হতে পারে। তবে এতে সমস্যা নেই। শিক্ষার্থীরা যদি কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই এই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে তাহলে আমরা চেষ্টা করবো বাকি ট্রেনটিতেও পাওয়ার কার লাগানোর।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি টিএসসির জন্য কাজ করছি। নতুন জায়গা খুঁজছি৷ উপাচার্য স্যার ইতিমধ্যে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ে টিএসসির জন্য কথা বলছেন। আশা করছি পজিটিভ কিছু হবে।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, শাটল ট্রেনের শিডিউল বাড়ানো ও পাওয়ার কার সংযুক্ত করা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যে একটি ট্রেনে পাওয়ার-কার সংযুক্ত করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমেছে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই আমাদের বাকি দাবিগুলোও পূরণ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আজিমুল ইসলাম বলেন, গরমে শিক্ষার্থীদের নাজেহাল অবস্থায় ‘পাওয়ার কার’ একটা স্বস্তির প্রতীক। তবে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু একটি ট্রেনে পাওয়ার কার যথেষ্ট নয়। দুটি ট্রেনেই পাওয়ার কার হলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কাটবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাটল ট্রেনে পাওয়ার যুক্ত করার জন্য একটি আবেদন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট। এরপরই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সাড়া দিয়ে ঈদের পর একটি ট্রেনে পাওয়ার কার যুক্ত করার কথা জানায়।