১২ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সোহরাওয়ার্দী হলে তালা দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হলের প্রশাসনিক কক্ষে তালা দিয়ে হলের সামনে অবস্থান নেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ: হলের অনেক রুমে খাট, টেবিল, চেয়ার ও আলমারির সংকট দ্রুত নিরসন করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলা হলের ভেতরকার রাস্তার সংস্কার কর্মকাণ্ডের দ্রুত সমাপ্তি।
ডাইনিং এবং ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বৃদ্ধি করতে হবে। হলে পর্যাপ্ত সুপেয় পানির সংকট দ্রুত তা নিরসন করতে হবে। হলের ওয়াইফাই ঠিকমতো চলে না, নিরবচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। হলের ওয়াশরুমের সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠ সংস্কার এবং দ্রুত খেলাধুলার সরঞ্জামের অপ্রতুলতা নিরসন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের চলাচলের নিরাপত্তার জন্য হলের সামনের রাস্তায় স্পীড ব্রেকার দিতে হবে। রিডিং রুমে পর্যাপ্ত বই, চেয়ার, টেবিল ও নিরবচ্ছিন্ন আলো এবং ফ্যানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। টিভি রুমের বেঞ্চ ও গেস্ট রুমের সোফার সংকট নিরসন করতে হবে। হলের পানির হাউজ ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। পুরাতন এক্সটেনশন ভবনে শিক্ষার্থীদের জীবনের হুমকি রয়েছে। তাই নতুন এক্সটেনশন নির্মাণ করতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মুনতাসীর সিয়াম বলেন, আমাদের প্রতিটি দাবি যৌক্তিক। হলের সামনে তিন রাস্তার মোড়, কিন্তু এখানে কোনো স্পিড ব্রেকার নেই। এতে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি থাকে। হল কর্তৃপক্ষ বারবার আমাদের মৌলিক দাবিগুলো পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। এছাড়া খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের। তাই আমাদের দাবিগুলো পূরণ এখন সময়ের দাবি।
চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১২টি দাবি পেয়েছি। তার মধ্যে সুপেয় পানির সমস্যা, রাস্তা সংস্কার, ডাইনিংয়ে খাবার সমস্যা, ওয়াশরুমের সমস্যা, রিডিং রুম, চেয়ার টেবিল, ওয়াইফাই এর সমস্যার কথা তারা বলেছে। আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। আমি তাদেরকে লিখিতভাবে সমস্যাগুলো জানাতে বলেছি।