চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দফায় দফায় দু'পক্ষের সংঘর্ষের পর দু'টি হলে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত আলাওল হল ও সোহরাওয়ার্দী হলে তাদের তল্লাশি অভিযান চলেছে। এ সময় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ সময় ওই হল দু'টি থেকে তিনটি রাম দা ও কয়েকটি স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম পুলিশের তল্লাশি অভিযানের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় হল দু'টিতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ সময় তিনটি রাম দা ও বেশ কয়েকটি স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অপ্রত্যাশিত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ দিন বিকাল পৌনে ৬টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। এরপরই আধিপত্য বিস্তার এবং রুম দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলাওল হল ও এ এফ রহমান হলে অবস্থানরত বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ উপগ্রুপ বিজয়ের ব্রাদার্স পক্ষের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এ সময় একপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে ও অপরপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠে অবস্থান নিয়ে একে অপরের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
এ সময় সোহরাওয়ার্দী হলের ৮টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। তবে, কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নেতাকর্মীরা যার যার হলের দিকে ফিরে যায়।
সোহরাওয়ার্দী হলের ৮টি কক্ষ ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, হলের ৮টি কক্ষ ভাংচুর করার পাশাপাশি প্রভোস্ট অফিসও ভেঙেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট করা ছাত্রদের অধিকারের মধ্যে পড়ে না।