দৈনিক শিক্ষাডটকম, চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার বাগদত্তাকেও মারধর করা হয়েছে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস ঝুপড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিচার দাবি করে বুধবার প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। যদিও রাত ১০টার পর ছাত্রীদের হল থেকে বের হওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। জরুরি প্রয়োজনে বের হলেও তাদের অনুমতি নিতে হয়।
খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ও তদন্ত কমিটির সদস্য নাজনীন নাহার ইসলাম বলেন, ‘রাত ১০টার পরে সাধারণত শিক্ষার্থীদের বের হওয়ার অনুমতি নেই। তবে বিশেষ প্রয়োজনে বের হতে পারে। যেহেতু এটি রাত ৩টার ঘটনা, তাই আমরা তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলতে পারবো।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে সহকারী প্রক্টর নাজিমুল আলম মুরাদকে সদস্য সচিব ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী প্রক্টর নাজিমুল মুরাদ বলেন, ‘এ ঘটনার বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেব। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় আমাদের একটু সময় লাগতে পারে। তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ছাত্রী লিখিত অভিযোগে বলেছেন, রোববার লেডিস ঝুপড়িতে তিনি ও তার বাগদত্তা কথা বলার সময় দু’জন মুখোশধারী ব্যক্তি এসে অযাচিত কথাবার্তা ও প্রশ্ন করা শুরু করে। তাদের জবাব দেয়ার একপর্যায়ে তারা গালাগাল শুরু করে এবং ফোন ও পার্স নিয়ে নেয়।
তাদের একজন ছাত্রীকে বাজেভাবে স্পর্শ করে উল্লেখ করে অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার একপর্যায়ে তাকে ফোনের লক খোলার জন্য হুমকি-ধমকি শুরু করে। লক না খোলায় তাকে মারধর করে। একই কাজ তার বাগদত্তার সঙ্গেও করে এবং তাকেও মারধর করে। তারা পার্স, তিনটি মোবাইল ফোন ও বাগদত্তার প্রায় পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে লেডিস ঝুপড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’