চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রীকে ‘পূর্ব আক্রোশের’ জেরে ফল পরিবর্তন করে একটি কোর্সে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন একই বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।
গত ৫ জুন কোর্স টিচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ চেয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করেন ওই ছাত্রী। আবেদনে তিনি বলেন, গত ৪ জুন আমার ৩য় বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়। আমি একটি কোর্স ব্যতীত (Chem-3203) A-প্লাস থেকে A-মাইনাস পাই। কিন্তু Chem-3203 কোর্সে আমাকে F গ্রেড (ফেল) দেয়া হয়। আমার দেয়া পরীক্ষার সঙ্গে এই ফলাফল কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ, এই পরীক্ষায় আমি পূর্ন নম্বরের উত্তর দিয়েছি। এমনকি আমার গত দুই বছরে সকল থিওরি কোর্সে A-প্লাস থেকে A-মাইনাস গ্রেডের মধ্যে পাই।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অযাচিতভাবে মানসিক চাপ প্রয়োগ ও গভীর রাতে ফোন দিয়ে উত্যক্ত করার অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী এবং তখন বিভাগের শিক্ষকরা আশ্বস্ত করেছিলেন এর প্রভাব ফলাফলে পড়বে না।
এই কোর্সের খাতা পুনর্নিরীক্ষণের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে যদি অভিযুক্ত শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও করেন তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানোর বিষয়ে যোগাযোগ করতে চাইলে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজের মাধ্যমে তিনি বিভাগের সভাপতি ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশিস পালিত বলেন, এটি বিভাগীয় সভাপতির বিষয় নয় পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাজ শেষ, পরীক্ষা কমিটি আমরা মিটিং করেছি আগামীকাল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ যা নেয়ার তারা নেবে।
বিভাগের বিভিন্ন সূত্র জানায়, এই অভিযোগ করার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।