সহযাত্রীর সঙ্গে ট্রেনে ব্যাগ রাখাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে ওই শিক্ষার্থী, জানা গেছে তার মাথা ও কপালে জখম হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম মিরাজুল ইসলাম শিবলী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র।
শনিবার (৬ মে) রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেসে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম শিবলী জানান, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনে প্রচুর ভিড় থাকায় ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়েই ঢাকায় আসছিলেন তিনি। পথিমধ্যে দরজায় ব্যাগ রাখাকে কেন্দ্র করে এক সহযাত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মিটমাটও হয়ে যায়। কিন্তু ট্রেন গাজীপুর পৌঁছালে হঠাৎ করে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেয় ওই যাত্রী। ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। জ্ঞান ফেরার পর প্রথমে ৯৯৯-এ কল করি। তবে পুলিশ আসতে যথেষ্ট দেরি হচ্ছিল। প্রায় আধা ঘণ্টা পর তারা এসে আমাকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তকে দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে শিবলী এবং তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা৷
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়ে একটা ফোন আসে। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টা অবহিত করি। পাশাপাশি ছাত্রের হল প্রভোস্ট, ডিপার্টমেন্ট চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর, শাহবাগ থানা পুলিশকে জানাই। স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান জানান, ওই শিক্ষার্থীর সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজ-খবর রাখছে। পাশাপাশি দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত শনাক্ত করতে গাজীপুর ও রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।