চাঁদাবাজি, শৃঙ্খলা পরিপন্থী অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগরকে তার স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে অনলাইন একটি নিউজ পোর্টালে ও ২৮ সেপ্টেম্বর প্রিন্টে এবং ‘ঠিকাদারকে মারধর করে রড ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগরকে পবিপ্রবি ছাত্রলীগের পদ অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব উল্লিখিত ব্যক্তিকে ১৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর বলেন, ঠিকাদারের এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে কারণ দর্শাবো পরে তারা যদি মনে করে আমি নির্দোষ তাহলে তারাই পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, পবিপ্রবির শেখ হাসিনা হল ও শেখ রাসেল হলের নির্মাণাধীন ভবনের কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক এনামুল হকের কাছে চাঁদা দাবি করেন। তবে তিনি চাঁদা না দেয়ায় বিভিন্ন সময়ে ওই ব্যবস্থাপককে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন। সর্বশেষ গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে শেখ রাসেল হলের ভবনের নির্মাণাধীন ভবনের রড ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী সুরিদ, ইমরান হোসেন সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
সে সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন জিজ্ঞেস করলে, তারা জানান, ‘ছাত্রলীগ সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর রড নিয়ে যেতে বলছেন’। তখন ব্যবস্থাপক এনামুল হক এসে বাঁধা দিলে ও প্রতিষ্ঠানের মালিককে জানিয়ে সময় চাইলে ছাত্রলীগ নেতা সুরিদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবস্থাপক এনামুল হকসহ কর্মরত কর্মীদের রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং এনামুল হকের মোবাইল নিয়ে যান। পরে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে চাইলে সেখানেও বাধা দেয় ছাত্রলীগ। আর এ ঘটনায় ভুক্তোভোগী মঙ্গলবার রাতেই দুমকি সদর থানায় প্রতিকার চেয়ে এবং গত বুধবার সকালে পবিপ্রবির উপাচার্য বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ সভাপতির নাম আরাফাত ইসলাম খান সাগর। আর এ ঘটনায় অভিযোগ করেছেন মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. এনামুল হক।