চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা এখন দেশে ফিরতে চাইলে ফিরতে হবে নিজ দায়িত্বে। যে মা-বাবা তাদের সন্তানদের নিয়ে আসতে চান, তারা নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসতে পারেন। কুনমিং এবং গুয়ানজু থেকে ঢাকার ফ্লাইট এখনও চালু আছে। এ কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি যারা এখনও চীনে আছেন তারা চাইলে ফিরে আসতে পারেন। ঢাকা থেকে চীনের গুয়ানজু এবং কুনমিংয়ে এখনও ফ্লাইট চালু আছে। তারা নিজ দায়িত্বে ফিরে আসতে পারেন। তারা ফিরে এলে পরবর্তী ব্যবস্থা সরকার নেবে।
তিনি আরও বলেন, 'যারা আসতে চায় তাদের বলেছি, তোমরা যদি আসতে চাও, ডেফিনেটলি আমরা চেক করে, কোয়ারেন্টাইনে পৌঁছে দেব।'
আরও পড়ুন : ‘আমরা বাঁচতে চাই, দেশে ফিরতে চাই’
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস বিশ্বের জন্য হুমকি : ডব্লিউএইচও
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে হটলাইন চালু
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : চিকিৎসা কী?
কোয়ারেন্টাইনে রাখার ক্ষেত্রেও জটিলতা হচ্ছে জানিয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, 'বাংলাদেশ খুব ঘনবসতিপূর্ণ, এ কারণে আমাদের এখানে কোয়ারেন্টাইনেও কিছু সমস্যা হয়। কারণ মা, বাবা, আত্মীয়স্বজন, আশপাশের লোক দেখা করতে চলে যান। কোয়ারেন্টাইনের লোক কেউ নামাজ পড়তে গেলেও তাকে আটকানো যায় না। অথচ নামাজে গেলে স্পর্শ থেকেও ভাইরাসটা ছড়াতে পারে।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, খুব কম দেশই তাদের লোকজনকে চীন থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারত, সিঙ্গাপুর এরকম কয়েকটি দেশই কেবল তাদের লোকদের ফিরিয়ে নিয়েছে। বাকি শত শত দেশের লোক এখনও চীনে আছেন। চীন সরকার তাদের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থাসহ সেখানে অবস্থানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশিদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, তাদের নাকি খাবার দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চীন কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের পানি দেয়, খাবার দেয়, যথাসময়ে পৌঁছে দেয়। দু'জন সিনিয়র অফিশিয়াল নিয়োগ করা হয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকদের দেখভাল করার জন্য। ওখানে তারা মোটামুটি ভালো আছে।