সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই বয়সসীমা ৩৫ এবং বিসিএস পরীক্ষায় নূন্যতম আটবার অংশ নেয়ার সুযোগ রেখে ৩ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা। অন্যথায় আবারো আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩২ করার প্রতিবাদ’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাংবাদিক সমিতির কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আলটিমেটাম দেন।
আরো পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত
বৃহস্পতিবার সকালে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর অনুমোদন করা হয়। আর একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে জানানো হয়। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন প্রকাশ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে করা এই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এক যুগ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেও তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি৷ এ সময় তারা বর্তমান প্রশাসনকে এলিট শ্রেণির প্রতিনিধি আখ্যা দেন আন্দোলনকারীরা৷
এর আগে ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. শরিফুল হাসান শুভ বলেন, আমরা সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। সেখানে ৩২ বছর করা হয়েছে। এটি সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। তাছাড়া এখানে বিসিএস পরীক্ষায় মাত্র ৩ বার অংশগ্রহণ করতে পারবে এমন একটি শর্ত রেখে দেওয়া হয়েছে। যেটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। কারণ একজন শিক্ষার্থী ২৪ বা ২৫ বছর বয়সে স্নাতক পাস করলে পরবর্তীতে এমনিতেই ৩০ বছর পর্যন্ত ৫-৬ বার বিসিএএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। কিন্তু বর্তমান শর্তের কারণে সেটি আর পারবেন না। তাই আমরা এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা স্থায়ীভাবে বয়স সীমা ৩৫ চাই।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে গত ১৪ অক্টোবর সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি। কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সে সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, চাকরিতে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৫ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ করার সুপারিশ করা হয়েছে।