দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : দেশের চারটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। নিয়ম না মানা, শিক্ষার মান বজায় না রাখায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এ মেডিক্যাল কলেজগুলোর একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করছে।
এ চারটি মেডিক্যাল কলেজগুলো, রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরের আইচি মেডিক্যাল কলেজ, ধানমন্ডির নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ এবং রাজশাহীর শাহ্ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ। দেশের এবং বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষায় পড়তে আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীদের এ কলেজগুলোয় ভর্তির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলোর ২২১ আসনে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে এ মেডিক্যাল কলেজগুলোর বিষয়ে সতর্ক করা হয় শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ মেডিক্যাল কলেজগুলোর একাডেমিক কার্যক্রম স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বিএমডিসি স্থগিত রেখেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বিএমডিসির নিয়ম ও শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারেনি।
এর আগে আলাদা অ্যাকাডেমিক ভবন তৈরি, বেজমেন্ট থেকে এনাটমি বিভাগ পরিবর্তন, রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও হাসপাতালের বিছানাগুলো বিষয়ভিত্তিক সাজানো ও সকল বিভাগে শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন শর্ত দিয়ে আইচি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে সরকার।
আর রাজশাহীর শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হলেও, প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করায় বিএমডিসি নিবন্ধন পায়নি। এছাড়াও অনুমোদিত আসনের দ্বিগুণ শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ফলে নিষেধাজ্ঞায় পড়ার পর বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্তও।
আবাসিক ভবনে পাঠদান, নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকা এবং বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। ফলে এমবিবিএস পাস করলেও কোথাও প্র্যাকটিস করার সুযোগ পান না এখানকার শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে বন্ধ রয়েছে রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষা কার্যক্রমও।
এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিতে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে শিক্ষার্থীদের। এতে কলেজ পরিবর্তন তথা মাইগ্রেশনের সুযোগ রাখা হয়েছে তিনবার। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের তালিকায় রাখতে পারবেন সবগুলো কলেজকে। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে। আর বেসরকারি মেডিকেল ভর্তিতে বিগত বছরের মতো এবারও অটোমেশন প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।