পরীক্ষামূলকভাবে এ বছর থেকেই চালু হচ্ছে দুই বছর মেয়াদি প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। শিশুর বয়স চার বছর হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো যাবে । এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন এনসিটিবি সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান ।
রিয়াজুল হাসান বলেন, চার বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই দুই বছর মেয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলক প্রাক্-প্রাথমিক স্তর চালু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় শিখনসামগ্রী ও শিক্ষক নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। চলতি বছর ৩ হাজার ২১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটা চালু হবে। এরপর ২০২৪ সালে তা দেশের প্রাথমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালু হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৬২০টি।
দেশে প্রথমে ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। এরপর ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। এত দিন পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষাস্তর চালু ছিল। এখন চার বছর বয়সী শিশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে পারবে। ইংরেজি মাধ্যম ও কিন্ডারগার্টেনে প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণি প্রাক-প্রাথমিক স্তরের মধ্যে পড়ে।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিজ নিজ বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণি পরিচালনা করবেন। তিনি দুই বছর মেয়াদি প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণি পরিচালনা শেষে বিদ্যালয়ের অন্য শ্রেণিতে পাঠদান করবেন। বছরের প্রথমেই উক্ত কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করে রুটিন প্রণয়ন করতে হবে। প্রাক্-প্রাথমিকের জন্য নির্বাচিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাচমেন্ট এলাকার ২০২৩ সালের জরিপ পরিচালনা করে চার বছরের বেশি বয়সী সব শিশুকে প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তির উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, চার বছরের বেশি বয়সী প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণি ৩০টি শিশু নিয়ে পরিচালিত হবে। তবে ভর্তিকৃত শিশুর সংখ্যা ৩০-এর বেশি হলে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে (একাধিক শাখা খুলে) তাদের প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে হবে।