ঝালকাঠির নলছিটির সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজীকে (৪০) হত্যাকারী মিজানুর রহমানকে (৫১) গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে চার লাখ টাকার চুক্তিতে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে ঘাতককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে এ তথ্য জানান তিনি।
মিজানুর রহমানের বাড়ি উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নে। হত্যার জন্য তাকে চার লাখ টাকায় ভাড়া করেন সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে কাজ শেষে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জিয়াউল আহসান ফুয়াদ কাজীকে। হত্যাকাণ্ডের পর মিজানুর রহমান সাড়ে পাঁচ মাস পলাতক ছিলেন। কোরবানির ঈদে গ্রামের বাড়িতে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় সিদ্ধকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে জেসমিন আক্তার জামিনে কারামুক্ত আছেন।
মিজানুর রহমান পুলিশকে জানায়, হত্যায় তারা দুজন অংশ নেন। তার অপর সঙ্গী ফুয়াদ কাজীর কোমর জাপটে ধরে তাকে অনবরত কোপাতে থাকে।
এতে তার হাতও মারাত্মক জখম হলে সে বরিশালের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে চিকিৎসা নেয়।
তিনি আরো জানান, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তাদের ভাড়া করেন সিদ্ধকাঠির ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম হাওলাদার। হত্যার পরিকল্পনায় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারও জড়িত। হত্যাকাণ্ডের আগে কাজী জেসমিন আক্তারের চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের বাড়িতে গোপন বৈঠক করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তানজিলুর রহমান জানান, ফুয়াদ হত্যায় জড়িত সন্দেহে আগে যাদের গ্রেফতার করা হয় তাদের জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে মূলহোতার নাম জানা যায়।
এরপর থেকে মিজানুর রহমানকে খোঁজা শুরু হয়। অবশেষে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী জানান, ফুয়াদ কাজী হত্যায় যারা সরাসারি অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তার সঙ্গের জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।