জরুরি ভিত্তিতে ৪ হাজারের বেশি প্রবাসী নার্স নেবে নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে স্বাস্থ্যকর্মীর তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য নার্স ও মিডওয়াইফ (ধাত্রী) পদে দক্ষ ব্যক্তিদের নাগরিকত্বও দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার এ ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, প্রয়োজনে দেশের অভিবাসনপদ্ধতি পরিবর্তন করা হবে। স্বাস্থ্যকর্মীর পদে যোগ্য ব্যক্তিদের আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নার্সের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও নেওয়া হবে। শূন্য পদে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে চিকিৎসকেরা ‘সবুজ তালিকায়’ নাগরিকত্ব পাবেন।
নিউজিল্যান্ডে নার্সদের সংগঠনের এক হিসাবে দেখা গেছে সেখানে চার হাজারের বেশি নার্স প্রয়োজন। চলতি বছরের শুরুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যান্ড্রু লিটল বলেছিলেন, শুধু মানসিক স্বাস্থ্য দেখভাল করার জন্যই নিউজিল্যান্ডে কয়েক শ নার্স দরকার।
২০২০ সালে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নিউজিল্যান্ডেও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এমনকি চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল দেশটিতে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আগস্ট মাস থেকে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয় নিউজিল্যান্ড।
এমন পরিস্থিতিতে জেসিন্ডা আরডার্ন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা নার্সদের জন্য একটি বার্তা দিতে চাই। সেটি হলো—‘বসবাস ও কাজের জন্য নিউজিল্যান্ড সবচেয়ে ভালো জায়গা।’ চিকিৎসা খাতে জনবলের ঘাটতি পূরণে তাঁর সরকার কাজ করছে না—এমন অভিযোগের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নার্স ও চিকিৎসকদের জন্য অভিবাসনপদ্ধতি পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে দেশটির বিরোধী দল। তারা বলছে, আরও আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। এখন দরকার জরুরি ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা।