দৈনিক শিক্ষাডটকম, চট্টগ্রাম : দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১২টি বিভাগে তালা ঝুলিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা এসব বিভাগের ফটকে তালা দেন। জানা যায়, তালা দেয়ার পর অনেক বিভাগে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আটকা পড়েন।
আবার অনেকে আগেই বেরিয়ে যান। এর আগে সকালের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তারা নানা স্লোগান দেন। পরে দলবদ্ধ হয়ে বিভাগগুলোয় গিয়ে তালা দেন তারা।
এদিন সকালেই কাপ্তাই সড়কে গাছ ফেলে চতুর্থ দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মূলত সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন তিন ছাত্র। তারা হলেন-পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২), দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১) ও জাকারিয়া হিমু (২১)। চুয়েটের কাছাকাছি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগর এলাকায় পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া গতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি যাত্রীবাসী বাস। পরে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয় শান্ত ও তৌফিকের।
দুর্ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরো দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাতে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নে চুয়েট ক্যাম্পাস অবস্থিত। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের একটি অংশ পড়েছে চুয়েট ক্যাম্পাসে।
জানা গেছে, সড়কের পাহাড়তলী এলাকা অংশে অনেক মালবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। মোহাম্মদ সবুর নামের এক চালক বলেন, তিনি চট্টগ্রামের ফৌজদার হাট এলাকা থেকে রাঙ্গুনিয়ায় পাথর নিয়ে যাচ্ছিলেন। গতকাল রাত থেকে তিনি অপেক্ষা করছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা হয়।