পরীক্ষার হলে নিজে না বসে প্রক্সি পরীক্ষার্থীর মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাসের করার অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গাফফারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তদন্ত টিম কাজ শুরু করেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এমএম জাকির হোসেন মঙ্গলবার দিনব্যাপী অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গাফফার, অভিযোগকারী মোস্তফা শাহ চৌধুরী, গৌতম চন্দ্র দে, দুলাল হোসেন, নজিপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোতালেব হোসেন লাইফ, পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মজনুর রহমান, অভিযুক্ত বদলি পরীক্ষার্থী সাজিউল ইসলাম সাজু, পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তিনি অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে তিনি পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে পরীক্ষার হাজিরা শিট ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে তা তিনি দেখাতে পারেননি। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষাৎগ্রহণকারী সবার কাছ থেকে লিখিত স্টেটমেন্ট গ্রহণ করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এমএম জাকির হোসেন বলেন, তদন্ত কার্যক্রমটি সময় সাপেক্ষ বিষয়। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় বোর্ড থেকে তলব করে তদন্ত করতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যানকে তার পাসপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগ ওঠে পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গাফফারের বিরুদ্ধে।