চ্যাটজিপিটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত একটি শব্দ। যা পুরো প্রযুক্তি দুনিয়ায় নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে। চ্যাটজিপিটি যেমন অনেকের জন্য উপকারী তেমনি অনেকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই এআই চ্যাটবটের কারণে চাকরি হারাতে বসেছে হাজারো মানুষ। এরমধ্যে আছে শিক্ষক থেকে, লেখক, গণমাধ্যম, ফ্রিল্যান্সাররাও।
তবে এরই মধ্যে ইউরোপের দেশ ইতালি ব্যান করলো জনপ্রিয় এই চ্যাটবটটি। অর্থাৎ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার নিষিদ্ধ ইতালিতে। এবার বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল তার কর্মীদের জন্য নিষিদ্ধ করলো এই চ্যাটবট ব্যবহার। চ্যাটজিপিটি ছাড়াও অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) অ্যাপ বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন না তারা।
এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই বেশ ভাবনায় পড়েছেন। হঠাৎ কেন কর্মীদের জন্য এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো। জানা গেছে, অ্যাপল নিজেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক টুল তৈরিতে কাজ করছে।
গত সপ্তাহে অ্যাপলের আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চ্যাটজিপিটি অ্যাপ উন্মুক্ত করে ওপেনএআই। সেই সঙ্গে চ্যাটজিপিটিতে যুক্ত হয়েছে ইনকগনিটো মোড। ফলে আইওএস ব্যবহারকারী ভয়েস আসিস্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারবেন চ্যাটজিপিটিতে।
এই ফিচারের ফলেই অ্যাপলের আশঙ্কা, এআই টুলের মাধ্যমে তাদের গোপনীয় তথ্য ফাঁস হতে পারে। তাই সফটওয়্যারের সংকেত (কোড) লেখার জন্য মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন গিটহাবের কপিলট ব্যবহার না করার জন্য কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছে অ্যাপল।
তবে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনআই বলছে, চ্যাটজিপিটিতে ইনকগনিটো মোড চালু করা হয়েছে। এ মোড ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীর কথোপকথনের ইতিহাস সংরক্ষিত হবে না। এমনকি চ্যাটজিপিটিকে তথ্যে সমৃদ্ধ করতে ব্যবহারকারীর তথ্যও ব্যবহৃত হবে না।
এমনকি এর আগে গুগলের মতো চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীর হিস্ট্রি দেখা যেত। ওপেনআইয়ের দাবি, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর হিস্ট্রি মাত্র ৩০ দিনের জন্য জমা রাখে। এমনকি স্থায়ীভাবে মুছে ফেলার আগে তাদের সেগুলো পর্যালোচনা করতে দেয়।
সূত্র: দ্য ভার্জ