ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে নুর উদ্দিন নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার নুর উদ্দিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর খোয়াজ এলাকার নুরুল আফসারের ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ছাত্র আবদুল আলিমের (১৩) মা বাদী হয়ে শিক্ষক নুর উদ্দিনকে আসামি করে ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোনাগাজী পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে বুধবার রাতে ফেনীর সোনাগাজী পৌর এলাকার তাকিয়া সড়কের তালিমুল কোরআন মাদরাসা অ্যান্ড জেনারেল এডুকেশন ইসলামিক ইনস্টিটিউটে এ ঘটনা ঘটে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন দাইয়ান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রের মা কামরুন নাহার জানান, তার স্বামী বিদেশে থাকেন। বাড়ি থেকে মাদরাসা দূরে হওয়ায় আবদুল আলিম মাদরাসার ছাত্রাবাসে থাকতো। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলিমের দুই সহপাঠী শিক্ষককে না বলে ছাত্রাবাস থেকে বের হয়ে বাজারে যায়। দীর্ঘক্ষণ ফিরে না আসায় রাত ১০টার দিকে আলিম তাদের খুঁজতে বের হয়। পরে তারা তিনজন ছাত্রাবাসে ফিরে আসে। এরপর শিক্ষক নুর উদ্দিন বৈদ্যুতিক তার দিয়ে আলিমকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন। এতে আলিম অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরদিন বৃহস্পতিবার ছেলে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি তাকে জানায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখায়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ছেলেকে নিয়ে মাদরাসায় গিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চান। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। পরে তিনি ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। শুক্রবার রাতে থানায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আসামি করে মামলা করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।