আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন বাবা মা। ঘরে দরজা লাগিয়ে পড়তে বসেছে স্কুলছাত্রী। স্কুলছাত্রী একা থাকায় বসত ঘরে ঢুকে পড়ে মেম্বারের বখাটে ছেলে। ঘরে ঢুকে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালালে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে আটক করে।
গতকাল শুক্রবার রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে। বখাটে জুবায়ের হোসেন তৌকির (২০) কাইটাইল ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাকির হোসেন রিটনের (মেম্বার) ছেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেয়েটির পরিবার নিরীহ হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে দমশ শ্রেণিতে পড়ছে।
স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিত মেম্বারের বখাটে ছেলে তৌকির। এ বিষয়ে মেম্বারের কাছে কয়েক দফা বিচার দেন স্কুলছাত্রীর বাবা।
শুক্রবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে চলে যান। স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে বখাটে তৌকির।
ঘরের ভেতর ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। পরে তাকে আটক করা হয়।
আটকের খবর পেয়ে রিটন মেম্বার তার লোকজন নিয়ে এসে জোরপূর্বক ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। মেয়েটির পরিবার বিচারের দাবি জানালেও ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, 'আমি গ্রামের নিরীহ মানুষ।
আমার মেয়েটাকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে কু-প্রস্তাব দেয় মেম্বারের ছেলে। শুক্রবার আমরা আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ঘরে আমার মেয়েকে একা পেয়ে মেম্বারের ছেলে এসে নির্যাতন করেছে। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।'
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন রিটন বলেন, 'আমার ছেলের ভুলের জন্য গ্রামবাসীসহ মেয়ের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আর কখনো যাতে এমন কাজ না করে সেজন্য ছেলেকে শাসন করব।'
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, 'এ ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’