সংগীত শিক্ষার আড়ালে ছাত্রীকে ধারাবাহিক যৌনপীড়ন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক রনজিত পাটোয়ারীকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে নারী শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম. ইসমাইল হোসেন এর আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলী পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম অভি সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে নারীদের প্রতি যৌন নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানির মতো অপরাধ কর্মকান্ড কমে আসবে।
এদিকে,আদালতে বিচারক তার রায় ঘোষণার সময় বলেন, আসামি রনজিত পাটোয়ারী ভিকটিমের গানের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ নিয়ে গত ২৬/০৪/২০২২ইং তারিখ হতে ১০/০৩/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর পর্যন্ত সময়কালে বিভিন্ন সময়ে কমপক্ষে তিনবার অবৈধ যৌনকামনা চরিতার্থ ও শ্লীলতাহানী করেছেন মর্মে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১০ ধারায় আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫লাখ টাকা জরিমানার দন্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত। এই জরিমানার অর্থ ভিকটিমকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালত।
ইতিমধ্যেই আসামি কারাগারে থাকাকালীন সময়গুলো সাজার মেয়াদ হিসেবে কারাদন্ডের মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়ার আদেশও দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, আসামির নিজের ইউনির্ভাসিটিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
আসামি সঙ্গীত শিক্ষকের মুখোশ পরে সঙ্গীতকে তার বিকৃত যৌনাচারের হাতিয়ারে পরিণত করে তার মেয়ের চেয়েও বয়সে অনেক ছোট ভিকটিমকে একাধিকবার যৌন নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানি করেছেন।