কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং হামিদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে হারবাং এলাকাবাসী। এতে অংশগ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতারা।
শুক্রবার হারবাং স্টেশনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় মোহাম্মদ শাহাজানের মেয়ে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউসুফের নাতনী ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সানিয়া আক্তারকে মেরে পা ভেঙে দেয় সুপার নুরুল আলমের আত্মীয় আলাউদ্দিন।
শুক্রবার হারবাং স্টেশনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে দাখিল শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করার অভিযোগে মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী ছাত্রী সানিয়া আক্তারের দাদা মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ। এই ঘটনার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন সুপার। এর জের ধরে গত ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় মোহাম্মদ শাহাজানের মেয়ে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউসুফের নাতনী ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সানিয়া আক্তারকে মেরে পা ভেঙে দেয় সুপার নুরুল আলমের আত্মীয় আলাউদ্দিন। এতে সানিয়ার ডান পা ভেঙে যায়৷ এই ঘটনায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। সুপারকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি মাদরাসা থেকে অপসারণের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, নুরুল আলম একজন জামায়াতের চিহ্নিত রাজনীতিবিদ। তাঁর নির্দেশনায় মাদরাসায় জামায়াতের কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে মাদরাসার অফিস থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলেছিলেন সুপার নুরুল আলম।
গত ১৫ আগস্ট যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাযাকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় গাড়ি ভাঙচুর ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুটি মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামি হামিদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার নুরুল আলম।
এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার নুরুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। আজকের এই মানববন্ধন ষড়যন্ত্রের অংশ।
মানবন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কক্সবাজার জেলার নেতৃবৃন্দ ও হারবাং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।