২০২২ খ্রিষ্টাব্দে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পাস করতে পারেনি, তারা যেন মন খারাপ না করে। সামনে ভালো করার জন্য নতুন করে যেন উদ্যোগ নেয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কেন ফেল করবে?
তিনি বলেন, আমি দেখলাম পাসের হারে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তার মানে, ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চামেলী হলে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। আর এর জন্য প্রধান হাতিয়ার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। শিক্ষাকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের উদ্যোগের ফলে শিক্ষার হার বেড়েছে। বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা করেছি। যুগোপযোগী শিক্ষা বা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার উদ্যোগ নিই। অনেকগুলো কৃষি ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি।
তিনি বলেন, আমরা নিয়ম করেছিলাম, ফলাফল ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। এবার আপনারা ৬০ দিনের আগেই ফল দিতে পেরেছেন। এজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চেয়েছেন। আজকের ছেলে-মেয়েরাই তো সোনার মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি। বিজ্ঞান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে গবেষণা হচ্ছে। কৃষির গবেষণায় খুব ভালো হচ্ছে। গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবন হয়। সব সেক্টরকে গবেষণায় এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে, তথ্যপ্রযুক্তিতে আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং নিতে আরও সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। তাতে তাদের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সচিব ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান এবং পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।