কলেজ তহবিল হতে প্রাপ্য ৫ বছরের বেসরকারি অংশ ভাতাদি এবং ৮ বছরের বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিশোধের দাবিতে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গনে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলি ইউনিয়নের শাহ জালাল মহা-বিদ্যালয়ের বৈষম্যের শিকার শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে শাহ জালাল মহা-বিদ্যালয়ের বৈষম্যের শিকার শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিবছর ভর্তি ফি,মাসিক ফি, প্রশংসাপত্র ফি বাবদ বেসরকারিভাবে প্রচুর তহবিল সংগ্রহ হয়, যা থেকে গভর্নিং বডির রেজুলেশন অনুযায়ী শিক্ষকদের বেসিক বেতনের ৩৫% হারে বেসরকারি অংশ ভাতা দেওয়ার কথা, কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষ বিগত ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৫ বছর ধরে কোন ভাতাদি প্রদান করেননি।
কলেজ পর্ষদ থেকে প্রতি মাসে বেসিকের ১০% করে প্রত্যেক শিক্ষকের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা হওয়ার কথা থাকলেও কারও একাউন্টে এসব টাকা জমা হয়নি, বিগত ১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই শিক্ষকদের নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব শূন্য রয়েছে যা অমানবিক। শিক্ষকরা আরো বলেন, বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের ভাতাদি প্রদান করার দাবি জানানো হলেও অধ্যক্ষ নানান ছলচাতুরীর আশ্রয় নেন, এমনকি শিক্ষকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রভাষক রিংকর চন্দ্র রায়, প্রভাষক দেবাশীষ রায়, প্রভাষক মো, হাসানুজ্জামান খান, প্রভাষক আবু তাহের রানা, প্রভাষক মাহমুদ সুলতান, প্রভাষক মীর্জা আমিনুল হক, প্রভাষক মো, জহিরুল ইসলাম, প্রভাষক মহিউদ্দিন, শরীরচর্চা শিক্ষক জুটন তালুকদার ও প্রদর্শক মো, আমিরুল ইসলাম। মানববন্ধন শেষে বৈষম্যের শিকার শিক্ষকবৃন্দের পক্ষ থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।