জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান ফটকে পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘ছাত্রলীগ প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ’। এটি সাঁটিয়ে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ১৭ জুলাইও একই ধরনের পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই পোস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্য করা যায়।
ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তি ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে এর আগে গত মঙ্গলবার জবি ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি (শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী) নিষিদ্ধ করে মৌখিক আশ্বাস দেন ট্রেজারার ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী। এদিকে গতকাল রাতে ছাত্রদলের সহায়তায় ক্যাম্পাস প্রবেশ করতে দেখা যায় এক বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতিকে। তাদেরকে চিনে ফেলায় উভয়কেই উত্তম মাধ্যম দেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে।
পোস্টার এর ব্যাপারে জবি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নূর নবী মুঠোফোনে জানান, পোস্টার লাগানোর ব্যাপারে অবগত আছি। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে সকলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিগত ১৫ থেকে ১৬ বছর শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের যে বর্বরোচিত হামলার ইতিহাস রয়েছে তা ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তারা জোরপূর্বক বিভিন্ন প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেত এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হতো। কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করে। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, পোস্টারে শুধু ছাত্রলীগের প্রবেশ নিষেধ কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাহলে কি ছাত্রদল ঢুকতে পারবে? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে সব দলের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, ক্যাম্পাসে ঢুকতে হলে সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে ঢুকতে হবে। যে কেউ ব্যক্তিগতভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে যেকোনো দলের রাজনীতি করতেই পারে কিন্তু ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ। শুধু ছাত্রলীগের ব্যাপারটা ভিন্ন।