জনবল সংকটে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলায় ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাত শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের তদারকি, বেতন-ভাতা দেয়াসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে সঠিক সময়ে করা সম্ভব হচ্ছে না। অফিসে কম্পিউটার প্রিন্টার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের পদটি দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় শিক্ষকরা কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমনকি অফিসের চারজন ক্লার্কের সবগুলো পদ শূন্য থাকায় সব কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৬ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মধ্যে আছেন ৪ জন, ২টি পদ শূন্য। ৪ জন ক্লার্কের মধ্যে ৪টি পদই শূন্য ও দুইটি পিয়নের পদই শূন্য রয়েছে। অফিসে একজন মাত্র ক্লার্ক গত ১২ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীতে বদলি হয়ে যাওয়ায় ক্লার্কের পদ শূন্য থাকায় দাপ্তারিক সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে কর্মরত কর্মচারীরা হিমসিম খাচ্ছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক কে এম আবদুর রাজ্জাক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল না থাকায় আমরা খুবই অসহায়। সামান্য কাজে শিক্ষা অফিসে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এমনকি একদিনের কাজ কয়েক দিন লেগে যায়। শিক্ষকদের বেতনভাতা সঠিক সময়ে পাচ্ছেন না শিক্ষকরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষা অফিসে জনবল সংকটের কারণে বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ নানা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে চলমান উন্নয়নমূলক কাজগুলোও দেখভাল করা যাচ্ছে না। উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ ক্লার্ক ও পিয়নের পদ শূন্য থাকায় দাপ্তরিক কাজ আমি একা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। এখানে একজন ক্লার্ক দিলে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাসহ সব কাজ সঠিক সময়ে দেয়া যেত।
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বক্তিয়ার রহমান জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মির্জাগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জনবল সংকট রয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন স্যারকে বিষয়টি অবহিত করবো। ক্লার্ক না থাকায় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিতে বিলম্ব হচ্ছে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে ক্লার্ক না থাকায় দুই-একদিন বিলম্ব হতে পারে। জনবল নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা অধিদপ্তরের হাতে। তবে অতিদ্রুত এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।