সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি ধৃষ্টতার শামিল। স্বাধীনতার পরাজিত অপশক্তির কোনো ধরনের আস্ফালন আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না। কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের জবাব দিতে ছাত্রলীগসহ স্বাধীনতার সপক্ষের সবাই প্রস্তুত।
সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে কোনো জনদুর্ভোগ মেনে নেবে না সরকার। যে কোনো অপশক্তিকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সরকারবিরোধী আন্দোলনের চেষ্টা চলছে। এতে বিএনপির সমর্থন ও যোগসাজশ রয়েছে।
রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের অস্তিত্বকে আঘাত করে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী স্লোগানের মাধ্যমেই এ আশঙ্কা প্রমাণিত হয়েছে। রাজাকারের চেতনা লালনকারীরাও রাজাকার। এ দেশের মাটিতে রাজাকারের ঠাঁই নেই। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যথার্থ ছিল। যারা দেশের গৌরবকে অস্বীকার করে রাজাকার পরিচয় দেন, তারা কীভাবে নিজেদের মেধাবী পরিচয় দেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের কুশীলব বিএনপি-জামায়াত। আলটিমেটাম দেওয়া সরকারের বিরুদ্ধে ধৃষ্টতা। কোটা সংস্কার নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি বলেন, রাজাকার পরিচয় জাতীয় চেতনার পরিপন্থি। নিজেদের কীভাবে রাজাকার বলে পরিচয় দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা? রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেতনার পরিপন্থি হয়ে কীভাবে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তস্নাত দেশে রাজাকারের আইন চলতে পারে না। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অপমান বাঙালি জাতি সহ্য করবে না।
তিনি আরও বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী বেঁচে থাকতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত পরাজিত অপশক্তির অপতৎপরতা প্রতিরোধ করা হবে। যে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, নিজেদের রাজাকার পরিচয় দিতে গৌরববোধ করে, তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে না?
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।