জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ক্যান্টিনের খাবারের মধ্যে তেলাপোকা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
শুক্রবার দুপুরে ক্যান্টিনে খাবার খেতে গেলে খিচুড়ির মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পান হলের এক আবাসিক ছাত্রী। পরে খাবার নিয়ে দেখানো হলে তাকে নতুন করে খাবার দেয়া হয়। তবে হলের ক্যান্টিনের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর বিষয়টিকে পাত্তা দেননি।
হলের আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ, ডাইনিংয়ের খাবারে প্রায়ই পোকামাকড় পাওয়া যায়। অনেকবার জানালেও দায়িত্বরত ব্যক্তিরা গুরুত্ব দেন না। এ ছাড়া নিম্নমানের চাল দিয়ে ভাত রান্নাসহ বাসি ভাত পরিবেশনের অভিযোগ করেছেন তারা। অন্যদিকে গ্যাস সংকটে নিজেরা রান্না করেও খেতে না পারায় ছাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
ছাত্রীদের হল ডাইনিংয়ে দুপুর ও রাত মিলে প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য খাবার রান্না করা হয়। শুক্রবার খাবার খেতে গেলে খিচুড়ির মধ্যে তেলাপোকা দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফেসবুকে পোস্ট করলে, হলের খাবারসহ নানা বিষয়ে অভিযোগের ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
হলের আবাসিক ছাত্রী সুমা বলেন, ‘আমিও কয়েকবার খাবারের মধ্যে মাছি পেয়েছি। বারবার একই ঘটনা ঘটছে। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বললেও তারা আমলে নিচ্ছেন না।’
সমাপ্তি নামে আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলে পানির সমস্যা, গ্যাস নাই, কিচেন নোংরা। এখন আবার তেলাপোকাও খেতে হচ্ছে। অভিযোগ জানালেও কোনো কাজে আসছে না।’
এদিকে চাল বা ডালে পোকা ছিল না দাবি করে ক্যান্টিন ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রান্নাঘরের উপরে টিনের ছাউনি আছে। সেখানে অনেক ময়লা থাকায় পোকামাকড় আসতে পারে। অনেকদিন ধরে ময়লা সরানো হচ্ছে না, তেলাপোকা তো আসবেই। অনেক সময় ছাত্রীরাও উপর থেকে ময়লা ফেললে ক্যান্টিনের খাবার ঘরে এসে পড়ে। এসব থেকে তেলাপোকা আসে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি হলের ক্যান্টিন কমিটির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন হাউস টিউটর ছুটিতে থাকায় একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’ গ্যাস সংকটের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা প্রধান প্রকৌশলী এবং বাপেক্স বরাবর চিঠি দিয়েছি। উপাচার্যের সঙ্গেও বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এটির সমাধান হবে।’