জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সোমবার এ স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি।
স্মারকলিপি বলা হয়, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশে মেধার গুরুত্ব দিয়ে একটি প্রগতিশীল, মুক্তচিন্তা ও সৃজনশীল শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বৈষম্য তথা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি যা ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায় এবং শত শত শিক্ষার্থীর জীবনের বিনিময়ে, অঙ্গহানির বিনিময়ে সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে আমরা একটি বৈষম্য মুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি।
কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিময়ে যে দ্বিতীয় বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি সেখানেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা এখনো বিদ্যমান যা ২৪’র বিপ্লবের চেতনার সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা আশা করি উপাচার্য মহোদয় এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে পোষ্য কোটা বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
স্মারকলিপিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন রায়হান হাসান রাব্বি, অপু মুনসি, তাওহিদ ইসলাম ও সোহান প্রামানিক।
প্রসঙ্গত, গত রোববার স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এতে পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হিয়, পোষ্য কোটায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দের সন্তান/স্বামী/স্ত্রীরা আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত হলে কোটায় ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।