জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়(জবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। এতে প্রতি ইউনিটের জন্য আলাদা আলাদা জিপিএ শর্ত প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে সকল শিক্ষার্থী ২০২১ বা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি বা সমমান এবং ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারা আবেদন করতে পারবেন।
পূর্ণাঙ্গ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে থাকছে কোটা পদ্ধতি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রতিবন্ধী (ডিফারেন্টলি অ্যাবল- দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, শারীরিক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস ও হিজড়া), ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, হরিজন ও দলিত, খেলোয়াড় (বিকেএসপি) এবং পোষ্য (ওয়ার্ড) (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দের সন্তান/স্বামী/স্ত্রী) কোটায় আবেদনকারী পরীক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত হলে কোটায় ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের (এফএফকিউ) জন্য থাকবে ৫ শতাংশ কোটা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (এসইকিউ) বা প্রতিবন্ধী (পিফিকিউ) বা হরিজন ও দলিতদের জক্ন্য থাকবে (এইচডিকিউ) ১ শতাংশ কোটা। এ ছাড়াপোষ্য (ডব্লিউ কিউ), খেলোয়াড় (বিকেএসপি) কোটায় প্রতি বিভাগে ২ জনের অধিক শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া য্যাবে না। এ ছাড়া বিদেশি কোটায় বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যেসব কাগজপত্র বা সনদ থাকতে হবে:
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার ক্ষেত্রে লাল মুক্তিবার্তা/সরকারি গেজেটের ফটোকপি এবং মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মূল সনদপত্র।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মূল সনদপত্র এবং গোষ্ঠী প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট জাতিগত সনদ।
হরিজন ও দলিত কোটার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক/উপজেলা চেয়ারম্যান/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/ইউনিয়ন পরিষদ/ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র।
প্রতিবন্ধী কোটার ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র/আইডি (প্রয়োজনে শিক্ষার্থীর প্রতিবন্ধিত্ব চিকিৎসক কর্তৃক পরীক্ষা করা হবে)।
খেলোয়াড় কোটার ক্ষেত্রে বিকেএসপি কর্তৃক প্রদত্ত এসএসসি অথবা এইচএসসির মূল সনদপত্র এবং পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হবে।
কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময় অবশ্যই কোটা উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে কোটায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না। কোটায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের দিন কোটা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে।
এ ছাড়া ভর্তিচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের ১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময় সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য-সচিব, রেজিস্ট্রারের অফিসে যোগাযোগ করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।