জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঘোষিত হল উদ্ধার আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্রলীগের সক্রিয় হওয়ার আশঙ্কায় আন্দোলন স্থগিত করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এ স্থগিতের ঘোষণা দেন সমন্বয়ক আবু বকর। তিনি শিক্ষার্থীদের হল আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ফায়দা লুটার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরব ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা ও শিক্ষকদেরও। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জঙ্গী বলে আখ্যায়িত করা শিক্ষক-কর্মকর্তাও ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট দিয়ে ক্যাম্পাসে আসার ঘোষণা দিচ্ছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
হল উদ্ধার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে কোনোভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ না দেওয়ার দাবি তাদের।
ফেসবুকে ইসমাইল হোসেন নামে এক জবি শিক্ষার্থী বলেন, ‘আবার অনেক ছাত্রলীগের সিনিয়র জুনিয়রদের দেখলাম এখন হল আন্দোলনে খুব একাত্মতা প্রকাশ করছে, এখন এটা হাস্যকর লাগে দেখলে। অথচ ক্ষমতায় থাকাকালীন উনাদেরকে হলের ব্যাপারে টু শব্দ করতে দেখি নাই, অথচ তাদের তখন সেই সক্ষমতা ছিল হল উদ্ধারের, তারা উদ্যোগ নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সঙ্গে যুক্ত হতো।’
জবি শিক্ষার্থীদের জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ ‘জবিয়ানস’ এ লেখা হয়, ‘কিভাবে নেবেন জানি না।
আজ জবি নীল দলের (আওয়ামীপন্থী) শিক্ষকদের যে তিনটা গ্রুপ আছে তার মধ্য দুইটা গ্রুপ এক হয়ে মিটিং করেছেন। মিটিংয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা সবাই হল উদ্ধার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আবার ক্যাম্পাসে আসবেন। ১৫ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন নিয়ে যাবেন এবং একটা অরাজকতা এখানে সৃষ্টি হওয়ার প্রচণ্ড শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। আমরা সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হল আন্দোলনে আপনাদেরকে উৎসাহ দিয়েছি। তবে তাদের ফেসবুক সরব হওয়া কিন্তু ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে।
এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরাও আমাদের বিরুদ্ধে থাকবে আর আগামী ১৫ আগস্টে একটা অরাজকতা করে জগন্নাথ ইউনিটকে দুর্বল করা হবে। যেহেতু ক্ষমতায় তারা নেই তাই আমরা ১৬ তারিখেও হল উদ্ধার করতে পারব। কিন্তু এদের সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না। আর ১৬ তারিখের পরে যে হল আন্দোলনে যাবেন শুধু ট্রেজারার আর যেসব শিক্ষকরা জগন্নাথে দালালি করতো না তাদের সঙ্গে নিয়ে আগাবেন।’
মিনহাজুল ইসলাম নামে অপর এক জবি শিক্ষার্থী বলেন, ‘মঙ্গলবার হল আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পরিকল্পনা জবি ছাত্রলীগের! অন্যদিকে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে কোটা আন্দোলনবিরোধী ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শিক্ষকরা।’