জবির গর্ভবতী ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ - দৈনিকশিক্ষা

জবির গর্ভবতী ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

জবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আসন বরাদ্দ পাওয়া বিবাহিত ও গর্ভবতী হাত্রীদের হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। 

এতে বলা হয়, হলের আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্ত এবং আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা অনুযায়ী বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীরা হলে সিট পাবেন না। তারা অতিদ্রুত হলের সিট ছেড়ে দেবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

এছাড়াও বিজ্ঞাপ্তিতে হলের যেসব মেয়ে শিক্ষার্থীর মাস্টার্সের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে তাদের অতিদ্রুত হল ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোনো মানোন্নয়ন (মাস্টার্স) পরীক্ষার্থী এমফিল ছাত্রী হলে থাকতে পারবেনা বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিবাহিত ও গর্ভবতীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রীদের অনেকে। চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা যারা বিবাহিত তারাও তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাহলে আমাদের কেনো সিট ছাঁড়তে হবে। বাইরে থাকার চেয়ে হলে থাকতে পারলে আমরা সিকিউরড থাকি। অনেকের হাসবেন্ড ঢাকার বাইরে থাক। তাদের ফ্যামিলিও ঢাকায় থাকে না। তারা তো হলেই থাকবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা বিধি অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হলের বিধিমালার ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনো বিবাহিত ছাত্রী হলে সিটের আবেদন কর‍তে পারবে না।  

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ছাত্রী আছেন যাদের বাবা নেই, মা নাই। তারা হলের সিটের জন্য কান্নাকাটি করে। তাদের আসলেই হলে সিট প্রয়োজন। সিট পেলে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সুবিধার হবে। কিন্ত অনেকে বিবাহিত মেয়েরা আছে যাদের পরিবারের সামর্থ্য আছে খরচ বহন করার। প্রয়োজনে তারা আমাদের দরখাস্ত দিক যে হল ছেড়ে বাসা নিতে এক মাস বা দুই মাসের সময় প্রয়োজন। আমরা সেটা কনসিডার করার চেষ্টা করবো।

বিবাহিত কিন্ত আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ছাত্রীদের জন্য এ সিদ্ধান্ত শিথিল হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ট্রেজারার স্যার ভালো বলতে পারবেন। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ট্রেজারারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও মিটিংয়ে থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha স্কুলে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে - dainik shiksha এইচএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি - dainik shiksha অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু ২ জানুয়ারি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল - dainik shiksha গণভবন, ভিকারুননিসার বোন ও আইডিয়ালের কলোনি কোটা বাতিল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ - dainik shiksha ভাসানী, শেরেবাংলা-সোহরাওয়ার্দীকেও জাতির পিতা করার পরামর্শ সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস - dainik shiksha সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সাবধান: সারজিস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031449794769287