দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের কাজে বেশ জটিলতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেছেন, যেসব কনসালটেন্ট আছেন, তাদেরকে বারবার চিঠি দিয়েও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানে শিক্ষকদের তেমন কোনো অংশগ্রহণ নেই। শিক্ষকদের অংশগ্রহণ এখানে জরুরি। আমাদের না হয়েছে একাডেমিক মাস্টারপ্লান না হয়েছে ডিজাইন। বিল্ডিং ও হলগুলো দক্ষিণমুখী করতে হবে। যেখানে প্রাকৃতিক বাতাসের অবাধ চলাচল থাকবে। এতে করে জ্বালানি খরচ কমে যাবে।
রোববার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের ঘাট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও পরিকল্পনা ও প্রকৌশল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মাত্র সাত একরে ছেলেরা অমানবিক জীবনযাপন করছে। ছেলেদের জন্য আগে হল করা জরুরি। নতুন ক্যাম্পাসে ছেলেদের জন্য আগে হল করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আমাদের কতোটুকু হয়েছে, কি কারণে বাকি আছে তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।
নতুন ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা চাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেরানীগঞ্জে সরকার যে জমি দিয়েছে সেখানে দৃষ্টি দেবেন। যেসব প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে তা শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বসে তা নিরসনের চেষ্টা করবেন। নতুন ক্যাম্পাস দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এটা প্রয়োজন।
উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। তিনি বিশাল মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে আমাদের এতো বড় জায়গা দিয়েছেন। তিনি একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চান। আমরা সবাই সহযোগী হিসেবে কাজ করবো।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, কয়েক বছর পেরিয়ে গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পেয়েছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণই সম্পন্ন হয়নি। নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সম্পন্ন করতে সবার সম্মিলিত চেষ্টা প্রয়োজন।
এসময় নতুন ক্যাম্পাসের কাজ কিভাবে দ্রুত শেষ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রকৌশলীরা। ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতারা, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।