জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্ন সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠে। সেই খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটি গঠনের এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্তের কাজই শেষ করতে পারেননি তারা।
কবে নাগাদ এই রিপোর্ট জমা দেয়া হবে-জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এটা তো এভাবে বলা যায় না। তদন্তের অনেকগুলো কাজ আছে। এই ঘটনায় কারা প্রশ্ন করেছে, কারা মডারেশন করেছে, কবে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়েছে এসব বিষয় দেখতে হচ্ছে। আমরা গুরুত্ব সহকারেই তদন্ত কাজ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, তদন্তের কাজ চলছে। কমিটির দুটি মিটিং হয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকারও নেয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকেও আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা বলা হবে। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করবো।
এর আগে প্রশ্ন ফাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগে ওই ঘটনায় জানুয়ারির শুরুতে বিভাগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়ে বিভাগের মধ্যে রেখেই চেয়ারম্যান ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার পরে বিভাগীয় একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এজেন্ডার মধ্যে না রেখেই আলোচনা ছাড়াই ওই শিক্ষককে সব ক্লাস-পরীক্ষা থেকে তিন বছরের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে সেই শাস্তির সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও অবগত করেনি বিভাগ।
প্রসঙ্গত, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ‘ক্লাসিক্যাল ইলেকট্রো ডাইনামিকস : ১’ কোর্সের ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা চলার সময় নকলসহ ২০১৭-১৮ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে আটক করেন দায়িত্বরত শিক্ষকরা। পরে তার সঙ্গে থাকা নকলের অধিকাংশ প্রশ্নের সঙ্গে মিল থাকায় বিভাগের শিক্ষকরা ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি প্রশ্ন পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। প্রশ্ন সরবরাহকারী হিসেবে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুয়েল সাহার নাম বলেন ওই ছাত্রী।