জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্যে থেকেই উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, গত ১৯ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভবন ছাড়া আর কোন কিছু হয় নাই। আমাদের এই ক্যাম্পাস ও কেরানিগঞ্জের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমরা সাজিয়ে ফেলতে চাই। একই সঙ্গে প্রশাসনকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে।
এ সময় সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি ভিসি নিয়োগের পায়তারা কেউ করেন তাহলে সেই তালবাহানা মেনে নেয়া হবেনা। বাইরের কোন উপাচার্যকে ক্যম্পাসের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবেনা। যদি বাহিরের কাউকে উপাচার্য হিসেব নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে তাকে অসম্মান না করে পুরান ঢাকার স্টার হোটেলে চা নাস্তা খাইয়ে বিদায় দেয়া হবে।
ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মত বিলাল হোসাইন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি পাবো। আমরা শিক্ষক,শিক্ষার্থী , কর্মকর্তা ও কর্মচারী যে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছি সেইটি কেন্দ্রে পর্যন্ত পোঁছে গেছে। আমরা গণসাক্ষর কর্মসূচী করে জমা দিয়েছি। আমাদের আন্দোলন বৃথা যাওয়ার কোন সুযোগ নাই।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হলে তিনি তার দায়িত্ব শেষে আবার আমাদের মাঝেই ফিরে আসবেন। এক্ষেত্রে তার একটা জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি হয়।
সহকারী রেজিস্ট্রার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম গ্রেডের শিক্ষকেরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রফেসর হতে পারলে জগন্নাথে কেন ভিসি হতে পারবে না। আমাদের শিক্ষকেরা বিদেশে থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জ্ঞান চর্চা করে ও বিতরণ করে। জগন্নাথ থেকে উপাচার্য না দেওয়ার একটাই কারণ হলো, ঢাকার বুকে তারা আরেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠুক ওরা চায় না। তাই আমাদের একটাই দাবি জগন্নাথ থেকে উপাচার্য চাই।
সমাবেশে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আমাদের এখানে বাহিরের ভিসি এসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লুটপাট করে চলে যায়, কোন জবাবদিহি করতে হয় না। যদি বাহির থেকে ভিসি আসে গেইটে তালা ঝুলবে, ক্যাম্পাস অচল করে দিবো। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যেভাবে খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছি, তেমনি আমাদের দাবী আদায় করে ছাড়বো।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বক্তব্য দেন।