জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা সাদমান সাম্যের হাতে এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন- এমন অভিযোগ উঠেছে। হামলার শিকার জাহিদ হাসান জনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার বিকেলে ক্যম্পাসের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। জনিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আল খিদমাহ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জনিকে প্রথমে ক্যম্পাসের সামনে অবস্থান করা বাসে আটকে রেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মারধর করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বাস থেকে বের করে মারধর করতে-করতে ক্যম্পাসের পাশে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে প্রবেশ করানো হয় তাকে। এ সময় ছাত্রদল নেতা সাম্যর সঙ্গে দশ থেকে বারোজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সাদমান সাম্য শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলের অনুসারী। সাদমান সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জবি শাখা ছাত্রদলের ১ নম্বর সদস্য।
এ বিষয়ে হামলাকারী সাদমান সাম্য বলেন, ও (জনি) হ্যারাসমেন্ট করছিলো। ওর সঙ্গে কথা বলা হলে বেয়াদবি করছে, মারতে আসছে। তখন পরিস্থিতি অন্যরকম হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জনির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে কথা বলার অবস্থা নেই তিনি।
এদিকে এ হামলার বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে তা আমরা শুনেছি। যদি ঘটনা সত্যি হয়ে তাহলে আমরা তার তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ কর হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।