অতিবৃষ্টির কারণে শাটল ট্রেনসহ অন্যান্য যান চলাচল বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২৪টি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টির ফলে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে চট্টগ্রাম নগর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী বাসগুলো হাটহাজারী উপজেলার নন্দীরহাট এলাকায় আটকা পড়ে। এছাড়া নগর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য শাটল ট্রেনও চলাচল বন্ধ ছিল। এতে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসন মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষক বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছু বাস চলাচল করলেও যানজটের কারণে দেরিতে পৌঁছেছে।
ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে শাটল চলাচল বন্ধ রয়েছে। নগরীর বটতলী রেল স্টেশন থেকে কোনো শাটল ট্রেন ছেড়ে যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ২৪ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এগুলো হলো- ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষ, দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষ, চারুকলা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষ, নৃবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রথম বর্ষ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের স্নাতকোত্তর, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষ, রসায়নের প্রথম বর্ষ, সমুদ্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষ, পালি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ, ইসলামিক স্টাডিজের চতুর্থ বর্ষ, ইংরেজির স্নাতকোত্তর, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষ, সংস্কৃতের তৃতীয় বর্ষ, মার্কেটিংয়ের তৃতীয় সেমিস্টার, আরবির দ্বিতীয় বর্ষ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতার দ্বিতীয় ও স্নাতকোত্তর, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয়, মনোবিজ্ঞানের প্রথম বর্ষ, হিসাববিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর প্রথম, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয়, ফাইন্যান্সের স্নাতকোত্তর, উদ্ভিদবিজ্ঞানের প্রথম বর্ষ ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল।
বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চারুকলা ইনস্টিটিউট এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বাদে সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছেন বলে তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যারা আজ পরীক্ষা দিতে পারেননি তাদের আগামীকাল পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর।