সাকুরা সায়েন্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে জাপানে যাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ৯ শিক্ষার্থী। পাঁচটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ বছর টিম লিডার থাকবেন ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ও ন্যানো টেকনোলজি ল্যাবের সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, সাকুরা সায়েন্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় জাপানের কিউসু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (কিউটেক) বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি গবেষণা ল্যাবরেটরির সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ন্যানো টেকনোলজি অ্যান্ড মেডিকেল ফিজিক্স, বায়ো ইনফরমেটিক্স এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরির কোলাবোরেশনের মাধ্যমে এ প্রোগ্রামে অংশ নিতে যাচ্ছেন তারা। এ প্রোগ্রামের আওতায় এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত ল্যাবরেটরি থেকে ছাত্রছাত্রীরা জাপানে গিয়েছিল। বর্তমানে তারা উচ্চ শিক্ষার্থে জাপানসহ আমেরিকা ও জার্মানিতে অবস্থান করছেন।
অধ্যাপক আনোয়ারুল বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে জাপানের উদ্দেশ্যে আমরা যাত্রা করবো। সেখানে ১২দিন থাকবো। এ পরিদর্শন কার্যক্রমের সব খরচ বহন করবে জাপান সরকার। সফরকালে শিক্ষার্থীরা জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির তিনটি ল্যাবে যৌথ গবেষণামূলক কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
৯ শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জাকিয়া জিনাত চৌধুরী, মো. হুমায়ুন কবীর ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. সাইফুর রহমান, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের মো. বায়োজিদ হোসেন, উম্মে হাফসা হিমু ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের খালেদ মাহমুদ সুজন।
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক. মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক. এম. হুমায়ুন কবীর অভিনন্দন জানান এবং এ ধরনের একাডেমিক এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম চলমান রাখতে টিম লিডারকে অনুরোধ করেন।