জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলামকে রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগে সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন-৪৭তম ব্যাচের আইন ও বিচার বিভাগের ইমরুল হাসান অমি, বাংলা বিভাগের আহমেদ গালিব, দর্শন বিভাগের কাইয়ূম হাসান ও আরিফুল ইসলাম এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তানভিরুল ইসলাম। সবাই মীর মশাররফ হোসেন হলে থাকেন। এর মধ্যে অমি শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক, গালিব ও কাইয়ূম সহসম্পাদক, আরিফুল ইসলাম কার্যকরী সদস্য এবং তানভিরুল কর্মী।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামকে মারধর করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এদিকে, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ১০ কার্যদিবসে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
১৯ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেককে প্রধান করে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহতাব উজ জাহিদকে। আর কমিটির সদস্যরা হলেন-আলবেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ সিকদার মোহাম্মদ জুলকারনাইন, শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেদ রানা ও জাহানারা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ মোরশেদা বেগম।
কমিটি ১৯ মার্চ সাভারে একটি রেস্টুরেন্টে মীর মশাররফ হোসেন ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর মধ্যে গণ্ডগোলের দুটি ঘটনাও তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর।