জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. শাহীন বাবুকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব। নওগাঁর মহাদেবপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের পর তিনি মহাদেবপুর থানার রামরায়পুর এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন।
গ্রেফতারকৃত শাহিন বাবু পোরশা উপজেলার ঘাটনগর মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. মুসা আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ৮ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. হৃদয় নিখোঁজ হলে তার বাবা ফজলুল মিয়া আশুলিয়া থানায় জিডি করে র্যাব-৪, সিপিসি-২ সাভার ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তার ছেলে হৃদয়কে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি অপহরণ করেছে এবং মুক্তির বিনিময়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেছে। তারা হৃদয়কে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব-৪ সাভারের গোয়েন্দা দল তৎপরতা শুরু করে। অপহরণকারী পরাণ, বাপ্পি ও তাদের অন্যান্য সহযোগীর বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২ টার দিকে হৃদয়কে অপহরণ ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা পরাণকে গ্রেফতার করে।
র্যাব আরো জানায়, পরাণ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরান জানায় তার সঙ্গী বাপ্পি, আকাশ ও শাহীনের সহায়তায় ভিকটিম হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সে আরো জানায় তারা দুইজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল পরাণ দরিদ্র হলেও তারা একই সাথে চলাফেরা করতো। এরপর হৃদয়ের পারিবারিক অবস্থা ভালো থাকায় তাকে অপহরণ করে পরিবারের নিকট হতে মোটা টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ মে দুপুরের খাবারের পর আড্ডা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে হৃদয়কে আটকে রেখে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তারা সংঘবদ্ধভাবে তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ধ্যায় লাশ বস্তাবন্দি করে শ্রীপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়ে তারা আত্মগোপন করে।