প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির।
রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে রাতে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের বেসকারি ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এই নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহি পেয়েছেন ৯ হাজার ৯ ভোট। একই আসনে নৌকায় ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
এ আসনে ১৫৮ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। মোট ভোটে পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩, ভোটের হার ৪৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বৈধ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৬, বাতিল হাওয়া ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৯৭।
আসনটিতে নির্বাচনী প্রচারণায় মাহিয়া মাহি টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে কখনও ‘জমিদার’, আবার কখনও ‘চৌধুরী সাহেব’সহ নানান তীর্যক মন্তব্য করেছেন। সদ্যসমাপ্ত ভোটে সেই ‘জমিদার’ বা ‘চৌধুরী সাহেবে’র কাছেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন এই চিত্রনায়িকা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ে কর্মীরা মাহিয়া মাহিকে নানান প্রশ্ন শুনতে হয়েছে।
সবশেষ রোববার নির্বাচন চলাকালীন তানোরের মুন্ডুমালা সরকারি প্রাথমিক স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন সময় মাহিয়া মাহি সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে বলেন, ‘হারি বা জিতি ইনশাআল্লাহ আগামীকাল সোমবার পুরো এলাকায় একটা শোডাউন করবো। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেবো, আমি তাদের সঙ্গে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। আর জিতলে এই এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি তাদের নিয়েই বাস্তবায়ন করবো।’
উল্লেখ্য, আজ সোমবার দুপুর দুইটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাহিয়া মাহিকে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায়নি।