জামায়াত নিষিদ্ধে আইনি ফাঁকফোকর বন্ধ করা জরুরি - দৈনিকশিক্ষা

জামায়াত নিষিদ্ধে আইনি ফাঁকফোকর বন্ধ করা জরুরি

মিজানুর রহমান খান |

আমরা নীতিগতভাবে একমত যে স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার নেই। স্বাধীনতাবিরোধী এই দলটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিভিন্ন মহলে তিনটি বিকল্প আলোচিত। হাইকোর্টের রিট, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাহী আদেশ। রিটে নিষিদ্ধ নয়, কেবল নিবন্ধন বাতিলের প্রশ্ন আছে। তিয়াত্তরের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে বিচ্ছিন্নভাবে ‘সংগঠন’ শব্দটি ঢোকানো ঠিক হয়নি। এটি সরকারের পলায়নপরতা। কারণ, বর্তমান অবস্থায় অভিযুক্ত দলের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলাই করা যাবে না। বাকি থাকে সরকারের নির্বাহী আদেশ। বাংলাদেশের সংবিধানের আওতায় রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধকরণ-সংক্রান্ত কোনো কার্যকর আইনি ব্যবস্থা এখন অনুপস্থিত। তবে সেটি আলোচনার আগে ভারতীয় অভিজ্ঞতার বিস্তারিত আমরা জেনে নিতে পারি। 

ভারতীয় অভিজ্ঞতা হচ্ছে জামায়াত বা কোনো দল সাময়িক নিষিদ্ধ করা যায়, তবে চিরতরে নিষিদ্ধ করা যায় না। ভারতের মতো দেশ তার রাষ্ট্রব্যবস্থার সর্বাত্মক অনুকূল পরিবেশেও জামায়াত-ই-ইসলামি হিন্দকে নিষিদ্ধ করে রাখতে পারেনি। ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতো ভারতীয় জামায়াতের ছাত্রসংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া (সিমি)। ভয়ংকর সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত সিমিকে নিষিদ্ধ করে হিমশিম খাচ্ছে ভারত।

১৯৭৫ সালের ৪ জুলাই ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থায় জামায়াতসহ ২৬টি বিরোধী দল বা গ্রুপ নিষিদ্ধ করেন। মধ্যপ্রাচ্যের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে ইন্দিরা গান্ধী সতর্ক ছিলেন। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম স্যাক্সবি ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই ওয়াশিংটনকে জানান, ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষাবিধির আওতায় জনসংঘের জঙ্গি গোষ্ঠী আরএসএস, ধর্মীয় সংস্কারপন্থী সহিংস গোষ্ঠী আনন্দ মার্গ, নকশালি এবং জামায়াত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করা হয়। সহিংসতার দায়ে সরকার আরএসএস ও আনন্দ মার্গকে নির্মূল করতে চাইছে। তবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে একটা ‘ভারসাম্য’ বজায় রাখতে।’ 

ভারতে জামায়াত দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ হয় ১৯৯২ সালের ১০ ডিসেম্বর নরসীমা রাওয়ের আমলে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পটভূমিতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএসের সঙ্গে জামায়াত ও ইসলামি সেবা সংঘকে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৮২ সালের নভেম্বরে ভারতের ৪৫ মুসলিম সাংসদ ‘সাম্প্রদায়িকতা রোধে’ আরএসএস ও হিন্দু পরিষদকে নিষিদ্ধে ইন্দিরার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী, সারা দেশে হাইকোর্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়েই ব্যস্ত থাকল। আর গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জামিনে বেরোতে থাকলেন। মন্ত্রীরা বিরক্ত। বললেন, কীভাবে তাঁরা বেরোয়? জামিন অযোগ্য ধারা করে আইন বানানো যায় না? মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন, যা কংগ্রেস নেতাদের বিব্রত করল। অন্যদিকে, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর সম্পদও তেমনভাবে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়নি।

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে ভারতে যে আইনটি আছে তার নাম ‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট ১৯৬৭’। এ রকম আইন আমাদের নেই। কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে হলে তাতে শুধু সরকারের সন্তুষ্টি যথেষ্ট নয়। একটি বিচার বিভাগীয় ট্রাইব্যুনাল দ্বারা সমর্থিত হওয়া প্রয়োজন। পাকিস্তান ও ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শুধু নন, আমাদের সুপ্রিম কোর্টও একাধিক রায়ে এই নীতি সমর্থন করেছেন। এই মুহূর্তে দলনিয়ন্ত্রক কোনো আইনে এ ধরনের বিচারিক ট্রাইব্যুনালের নির্দিষ্ট বিধান নেই।

১৯৯২ সালে ভারতীয় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার আদেশ জারি করে। এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টের একজন কর্মরত বিচারকের নেতৃত্বে গঠিত ট্রাইব্যুনাল তা পরীক্ষা করে দেখেন। তিনি সরকারি আদেশকে সমর্থন দেন। ভারতীয় জামায়াত তাদের নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে। তখন সরকার আদালতে বলে যে দলটি দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয়। আর দলটির আরও অপতৎপরতার তথ্য আছে, যা জনস্বার্থে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ১৯৯৪ সালের ১৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রায় দেন যে, ‘মামুলি উক্তির (‘কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতা অনিবার্য’) ভিত্তিতে ১৯৯২ সালের ১০ ডিসেম্বরে জামায়াত নিষিদ্ধকরণের আদেশ জারি করা সমীচীন হয়নি। তথ্য প্রকাশ না করতে সরকারি দাবি ট্রাইব্যুনালের যাচাই করা উচিত ছিল। তাঁর পক্ষে গোপন শুনানি করা সম্ভব ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারক তা করেননি।’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো জামায়াতি গঠনতন্ত্র, প্রচারপত্র ইত্যাদি সংবলিত হলফনামা দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এগুলোকে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে স্বীকারই করেননি। সলিসিটর জেনারেল বলেছিলেন, সরকারের গোপনীয় রেকর্ডপত্র দেখেই ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, একজন কর্মরত বিচারপতিকে বসানো হয়েছে শুধু রেকর্ড দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নয়। জামায়াত সুপ্রিম কোর্টে জিতে যায়। 

আর সিমির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ভারত এনেছে সেই অভিযোগ জামায়াত-শিবিরের নামেও আনা চলে। নাইন-ইলেভেন পটভূমিতে ২০০১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সিমিকে বেআইনি ঘোষণা করার নোটিশ জারি হয়। অভিযোগ, সিমি জাতিরাষ্ট্রে বিশ্বাস করে না। তারা  কোনো সংবিধানই মানে না। জাতীয়তাবাদ ধ্বংস করে ইসলামি বিপ¬ব করতে চায় তারা। তাদের জেহাদ হলো ধর্মযুদ্ধ। তারা মানুষের আইন নয়, ঐশি আইন কায়েম করবে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্যান ইসলামি সন্ত্রাস, কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের ‘জঙ্গিদের’ মদদ, বিন লাদেন, হামাস নেতা শেখ মোহাম্মদ, গুলবুদিন হেকমতিয়ার প্রমুখের সঙ্গে যোগসাজশের নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়। সিমি সুপ্রিম কোর্টে পরাস্ত হয়। 

লক্ষণীয় যে দোষী সাব্যস্ত সিমি একটি ভয়ংকর সন্ত্রাসী দল-এই অভিযোগ এনে ভারত সরকার সুপ্রিম কোর্টে জয়ী। তদুপরি সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, কোনো দলকে তার অপতৎপরতার জন্য সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা চলে, অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়। সিমিকে প্রথম নিষিদ্ধ করার মেয়াদ ২০০৩ সালে শেষ হয়। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সিমিকে তৃতীয়বার নিষিদ্ধ করা হয়। এর বৈধতাও তারা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে। তারা যুক্তি দেয়, ২০০৩ সালের পরে সিমির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ নেই। এর শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘সিমি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন।’ তদুপরি ২০০৮ সালে দিলি¬র একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ‘অভিযোগের সপক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই’ মর্মে সিমির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আদেশ দেন। হকচকিত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরকার দ্রুত জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে ধরনা দেয়। প্রধান বিচারপতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই আদেশ স্থগিত করেন। কিন্তু গল্প তাতে ফুরায় না। দুই বছর মেয়াদি সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা মনমোহনের নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তাবিষয়ক কেবিনেট কমিটি গত বছরের (২০১২) ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই বছর বৃদ্ধি করেছে। ভারতীয় ওয়েবসাইট রেডিফ ডটকম বলছে, ভারতীয় মুজাহেদিন নামে তারা সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। কথিত মতে এই গোষ্ঠী আহমেদাবাদ, জয়পুর ও দিলি¬ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে। মিডিয়ার সঙ্গে তারা আল-আরবি, আল-হিন্দি নামে যোগাযোগ করে থাকে। একজন সরকারি মুখপাত্রও বলেন, নিষিদ্ধ করার পরে সিমির গোপন তৎপরতা আরও ব্যাপকতা পেয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তানের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, কোনো রাজনৈতিক দলকে চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ করা যায় না। জিয়াউর রহমানের আমলে একবার কমিউনিস্ট পার্টি ও ডেমোক্রেটিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাই কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদে দল নিষিদ্ধ করতে হলেও তার জন্য উপযুক্ত আইনি প্রক্রিয়া দরকার। সেটা না থাকলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তারা আরও দর্পভরে বেরিয়ে যেতে পারে। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের দেওয়া রায়ে গোলাম আযম নাগরিকত্ব পান। এ জন্য অনেক বুদ্ধিজীবী তাঁর কঠোর সমালোচনা করেন। কিন্তু বাহাত্তর থেকে সরকারগুলো কী করেছিল, তার বিবরণও তাঁর রায়ে ফুটে উঠেছে। তাঁরা হয়তো সেসব পড়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেন না। আইনি ফাঁকফোকর রেখে দল নিষিদ্ধ করা হলে তা টেকানো কঠিন হবে। কিন্তু রাষ্ট্রের মঙ্গলে তা টিকবে কি না, গোলাম আযমের নাগরিকত্ব মামলার পরিণতি হবে কি না, সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। বিএনপি সরকারের আইনজীবীরা আদালতে আবেগে ভেসে বলেছেন, গোলাম আযমের আবার নাগরিকত্ব কী। তিনি তো পাকিস্তানি। বিচারপতি রহমান বলেছেন, আহা, যদি তা-ই হবে তাহলে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে বাংলাদেশ সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির দরকার পড়ল কেন?

বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২০ ধারায় ধর্মীয় নামযুক্ত কোনো দল সরকারি আদেশ দিয়ে নিষিদ্ধ করার সুযোগ আছে। কিন্তু এটি এখন কার্যত অচল। ক্ষমতাসীন দল মূল সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের শর্তাংশ রহিত করেছে। সে কারণে এই বিধানের আপনা-আপনি দাফন ঘটেছে কিংবা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়েছে। বর্তমান ৩৮ অনুচ্ছেদ ধর্মভিত্তিক দলের বিষয়ে আলাদা করে কোনো শর্তই আরোপ করেনি। বলেছে, ‘কোনো দল ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে গঠিত হবে না। রাষ্ট্র বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কার্য চালাতে পারবে না।’ 

এই অনুচ্ছেদের আওতায় কোনো আইন করা হয়নি। আগে সেটা দরকার। চুয়াত্তরের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২০ ধারার প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা যেতে পারে। ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনটি রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়। এতে নিষিদ্ধ করা হলে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ হবে। তখন দেখা যাবে, নির্বাহী আদেশ যাচাইয়ে সেখানে কোনো বিচার বিভাগীয় স্তর নেই। তিন সদস্যের একটি রিভিউ কমিটি আছে। সে কমিটি কাদের দিয়ে গঠিত হবে তা বলা নেই। সুতরাং সন্ত্রাস দমন আইন প্রয়োগ করা হলে তা আদালতে টিকবে কি না, তা প্রশ্নের বাইরে নয়। 

আমরা মনে করি, জামায়াতের মতো দলকে নিষিদ্ধ করতে হলে ১৯৬৭ সালের ভারতীয় আইনের মতো একটি উপযুক্ত আইন করা এবং তিয়াত্তরের আইনে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে বিচারের জন্য উপযুক্ত সংশোধনী আনার প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করা উচিত। শাহবাগের তরুণ প্রজš§ ২৬ মার্চের মধ্যে সেই আইনি প্রক্রিয়ার শুরুটাই দেখতে চাইছে। তবে সার্বিক বিচারে সরকারের দোদুল্যমানতাই স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। এর বড় প্রমাণ তারা জামায়াত-শিবিরের দ্বারা রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অভাবনীয়  সন্ত্রাস, ধ্বংস ও রক্তপাতের ঘটনাগুলোর দ্রুত বিচারে উদাসীন। অথচ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এর বিচার সহজেই সম্ভব। 

ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে : শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে : শিক্ষামন্ত্রী ডিবির হাতে গ্রেফতার নাসিরই চালান শিক্ষার ঢাকা ডিডি অফিস! - dainik shiksha ডিবির হাতে গ্রেফতার নাসিরই চালান শিক্ষার ঢাকা ডিডি অফিস! শিক্ষাভবন যখন কর্মকর্তার নোট-গাইড বিক্রির দোকান - dainik shiksha শিক্ষাভবন যখন কর্মকর্তার নোট-গাইড বিক্রির দোকান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষমতা পেলো কারিগরি বোর্ড - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষমতা পেলো কারিগরি বোর্ড পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশ আগস্টে - dainik shiksha পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশ আগস্টে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে বুদ্ধিজীবী হ*ত্যায় জামায়াত কীভাবে জড়িত - dainik shiksha বুদ্ধিজীবী হ*ত্যায় জামায়াত কীভাবে জড়িত please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029618740081787