এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট জামালপুর জেলা শাখা।
শনিবার সকালে শহরের দয়াময়ী মোড়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো) জামালপুর জেলার সভাপতি লাইলা নাসরিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ শাহ্ আলম।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিরা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিরাজমান। যেমন বাড়ি ভাড়া, উৎসবভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পদোন্নতি না থাকা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা, হাউজ লোন, বদলি প্রথা, চাকরি শেষে নেই পেনশনের সুবিধা।
শিক্ষক কর্মচারীরা আরও বলেন, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০% হারে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। এই বৈষম্য ও দূর্নীতি দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ জরুরি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাবেশিকফো জামালপুর জেলার সদস্য সচিব আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক পরিষদ জামালপুর জেলার সভাপতি নুর ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আজাদ রহমান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক পরিষদ জামালপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ। এসময় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানিয়ে দ্রুত এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজ ও মাদরাসা জাতীয়করণের ঘোষণা না দিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।