জাল সনদে বহুদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন এমন আরো ৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনুসন্ধানের সব পদ্ধতি অনুসরণ করে নিশ্চিত হয়েছে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা। শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ ব্যবহার করে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার মাদরাসায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। তারা সবাই এমপিওভুক্ত মাদরাসায় কর্মরত।
তিন জালিয়াতের মধ্যে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে সুপারিশ পাওয়া দাবি করে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন জহিরুল ইসলাম। তার রোল নম্বর দেখিয়েছেন ৩১৪০৮৭৪২। তিনি সহকারী মৌলভী শিক্ষক। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে জহিরুলের এই সনদটি জাল।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পাস দেখিয়েছেন দেলোয়ার হোসাইন, রোল: ৩১৪০৩২৪৯৯। জাল সনদ দিয়ে ধর্ম শিক্ষার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করে যাচ্ছেন দেলোয়ার হোসাইন ।
এ ছাড়াও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস দেখিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তিনিও জাল সনদে দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন ইবতেদায়ি মৌলভী পদে।
বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে বলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।