দীর্ঘদিন ধরে জাল সনদ দিয়ে চাকরি করছেন বলে অভিযুক্ত গ্রন্থাগার শিক্ষক (সহকারী লাইব্রেরিয়ান) হামলা চালিয়ে আহত করেছেন প্রধান শিক্ষককে। গতকাল বুধবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের কাকৈরতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত গ্রন্থাগার শিক্ষকের নাম কামাল হোসেন।
আহত প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের ভাষ্যমতে, ১০ বছর ধরে সহ গ্রন্থাগারিক পদে কাকৈরতলা বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছেন কামাল হোসেন। গত বছর বিদ্যালয় পরিচালনার নতুন কমিটি হওয়ার পর শিক্ষক কামাল হোসেনের গ্রন্থাগারিকের সার্টিফিকেট নিয়ে কথা ওঠে। পরে কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট যাচাই বাছাই করে তা ভুয়া বলে জানায়। এরপর কমিটির মিটিংয়ে তাকে ডিপ্লোমা সনদ গ্রহণ করার কথা বলা হয় এবং আইনি প্রক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে তাকে অঙ্গীকারনামা দিতে বলা হয়। তিনি এ প্রস্তাবে রাজি হয়েও পরদিন অঙ্গীকারনামা দিতে অসম্মতি জানান। এতে তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক বলেন, আজ (গতকাল বুধবার) রাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফরে কক্সবাজার যাওয়ার কথা। এরই মধ্যে সহ গ্রন্থাগারিক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে কাকৈরতলা গ্রামের হারুন রশিদের ছেলে মাঈন উদ্দিন, আফতাবুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন, আবুল কালামের ছেলে শিপনসহ ৪০-৫০ জনের একটি গ্রুপ স্কুলে এসে আমাকে পেটায়। এসময় অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আমার পকেটে থাকা শিক্ষা সফরের ৫৩ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।
আহত অন্যরা হলেন, শিক্ষক সামছুদ্দিন, জসীম উদ্দিন, দপ্তরী আইয়ুব আলী, পিয়ন হারুন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভ, যোবায়ের হোসেন প্রিন্স, শাওন ও রিফাত।
তবে, সহকারী গ্রন্থাগারিক কামাল হোসেন বলেন, আমি প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালাইনি। প্রধান শিক্ষক হয়তো কোন সময় কোনো ছাত্রীকে খারাপ কিছু বলেছে তার জন্য অভিভাবকরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, গ্রন্থাগারিকের সনদটি জাল হওয়ায় তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।