আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশধারী পাকিস্তানি এজেন্ট। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সৈন্যদের কথা হতো বন্দুকের নলে। পাকিস্তানি সৈন্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেখলে হত্যা করতো আর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সৈন্যদের দেখলে আক্রমণ করতো। আর সেসময় পাকিস্তানের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কর্নেল আসলাম বেগ জিয়াকে চিঠি দিচ্ছেন যে উনার কর্মকাণ্ডে নাকি তারা খুশি, বেশ খুশি। এতে কি প্রমাণ হয়? তিনি যে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন, তা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়েই তার কর্মকাণ্ডে প্রকাশ পেয়েছে।
বুধবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যার অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, জাতির পিতাকে ও তার পরিবারকে হত্যা ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর ও নৃশংস মানবতার লঙ্ঘন। খুনি জিয়াউর রহমান এই হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলো কারণ জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। ক্ষমতা গ্রহণের পর মন্ত্রিসভায় রাজাকারদের স্থান দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার আইন বন্ধ করার অপচেষ্টাও করেছিলেন তিনি। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যারা আমাদের দেশে গণতন্ত্রের ছবক দেন, গণতন্ত্রের শিক্ষা দেন, মানবতার শিক্ষা দিতে আসেন তখন তাদের কোনো বাক্য ছিলো না।
তিনি আরো বলেন, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপরে গ্রেনেড হামলার জন্যও ওয়ি একই শক্তি দায়ী। সেই জিয়ার পরিবার, খালেদাজিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছিলো। পরশুদিন মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ২১ শে আগস্ট হামলার বিচার হয়েছে এটা সম্পূর্ণ একটা নাটক হয়েছে। আসলেই নাটক হয়েছে। তারা যে নাটক করেছিলো তা এই কথার মাধ্যমে জাতির সামনে ফুটে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের দেশকে পিছিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র চলছেই। পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিলো, তারা এখনো রাজনীতির বিভিন্ন অঙ্গনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আগামী নির্বাচনকে নিয়ে তারা নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। এ ষড়যন্ত্রের মাত্রা সামনের দিনগুলোতে আরো বেড়ে যাবে, সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দীন আহমেদ, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড জাকারিয়া মিয়া ও অধ্যাপক ড. আশরাফ উল আলম। এছাড়াও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেফ্তাহুল হাসান।