ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহতের ঘটনায় বাসের চালক মোহন খানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার সকালে রাজধানীর আশুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোহন হালকা শ্রেণির গাড়ির লাইসেন্স দিয়ে চালাতেন ভারী যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাস। র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই চালক মোহন পলাতক ছিলেন।
সোমবার বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাসটির সুপার ভাইজার মো. ফয়সাল মিজানকে। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের কমিটি মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়ায় কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
গত শনিবার (২২ জুলাই) সকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাশার স্মৃতি পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৬৫৪৯) নামে বাসটি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ভান্ডারিয়া বাস স্ট্যান্ড হতে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি ঝালকাঠি মালিক সমিতির। পথে ছাত্রকান্দা নামক স্থানের গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হন।
ওইদিনই মৃত ব্যক্তিদের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে স্বজনের হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় হতাহতদের পরিবার থেকে মামলা না করলে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে। এতে সুপারে ভাইজার ফয়সাল ছাড়াও বাসটির চালক এবং সহকারীকে আসামি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাসটির চালক যাত্রীদের সঙ্গে তর্ক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন।