জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টাইমস্কেল জটিলতার সমাধান করার দাবি জানিয়েছে। এসব শিক্ষকের টাইমস্কেলের টাকা ফেরতের নির্দেশনা দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা চিঠি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে বেসরকারি আমলের ৫০ শতাংশ চাকরিকাল গণনা করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি ও সরকারিকরণের প্রক্রিয়া থেকে বাদপড়া প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তারা।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ‘প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে শিক্ষক মহাসমাবেশে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত এক লাখের বেশি শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ওই ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিপত্র প্রকাশ করা হয়। ওই সব পরিপত্রের আলোকে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকেরা আর্থিক সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু বিধিমালার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ আগস্ট শিক্ষকদের ভোগকৃত টাইমস্কেল ফেরত দেয়ার জন্য এক পত্র জারি করে। ফলে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। এর মধ্যে অনেক শিক্ষক অবসরেও চলে গেছেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই পত্র বাতিল করা, চাকরিকাল ৫০ শতাংশ গণনা করে শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বাদ পড়া প্রধান শিক্ষকদের নামের গেজেট প্রকাশের দাবি জানানো হয়।
এসব দাবি আদায়ে আগামী ১৯ মার্চ ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবে সংগঠনটি।